সবাইকে প্রথমেই নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাই। স্মার্ট ফোন/ট্যাবলেট এর জগতে এন্ড্রয়েড এর নাম শুনেননি এমন লোক এখন খুব কমই আছে বলা যায়। এন্ড্রয়েড এখন পৃথিবীর স্মার্টফোনের মোট শেয়ার এর ৮০% এর বেশি দখল করে আছে। ইউজার ফ্রেন্ডলি অপারেটিং সিস্টেম আর অফুরন্ত অ্যাপ ভান্ডার এন্ড্রয়েড ফোন গুলোকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে। বর্তমানে প্রায় এক বিলিওনেরও বেশি আন্ড্রয়েড দিভাইস চলমান রয়েছে। Google যখন এন্ড্রয়েড নামক একটি স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেম বাজারে নিয়ে আসে তখন থেকেই এর প্রতি আমার আগ্রহ বাড়তে থাকে, কিন্তু তাদের ডিভাইসগুলো আমার সাধ্যের মধ্যে ছিল না। আর বলতে গেলে আমার আপনার কথা মাথায় রেখেই আমাদের দেশি ব্রান্ড ওয়াল্টন, সিম্ফনি সহ অন্যরা তাদের এন্ড্রয়েড ফোন গুলো বাজারে আনে। আমি ব্যবহার এর সুযোগ পেয়ে যাই। এর জন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। আমার এই ধারাবাহিক টিউন এর উদ্দেশ্যই হল আমার মত সাধারন যারা এন্ড্রয়েড এর আগ্রহ আছে আর যারা এন্ড্রয়েড এর খুটিনাটি না জানার ফলে এটি ব্যবহার এর মজা উপভোগ করতে পারছেন না। তাই এখানে ধারাবাহিক ভাবে এন্ড্রয়েড ডিভাইস এর খুটিনাটি(সাধারন পর্যায়ে) আলোচনা করবো। অনেক কথা হল এবার শুরূ করা যাক
এন্ড্রয়েড ও এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
এন্ড্রয়েড মুলত স্মার্টফোনের জন্য Google এর বানানো একটি অপারেটিং সিস্টেম যা ২০০৭ সালে প্রথম আত্মপ্রকাশ করে এবং ২০০৮ সালে প্রথম ডিভাইস এর সাথে বাজারজাত করা হয়। এটি Linux কে বেইজড করে বানানো একটি Open Source Operating System এর মানে হল এর সোর্স কোড উন্মুক্ত। অর্থাৎ কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এ দক্ষ যে কেউ এই অপারেটিং সিস্টেম Customize করতে পারবে।
এন্ড্রয়েড ভার্সন
Code Name
|
Version
|
Launch
|
Android Beta
|
Nov 2007
| |
Astro
|
1.0
|
Sep 2008
|
Bender
|
1.1
|
Feb 2009
|
Cupcake
|
1.5
|
April 2009
|
Donut
|
1.6
|
Sep 2009
|
Eclair
|
2.0
|
Oct 2009
|
Froyo
|
2.2
|
Oct 2009
|
Gingerbread
|
2.3
|
Dec 2010
|
Honeycomb
|
3.0
|
Feb 2011
|
Ice Cream Sandwich (ICS)
|
4.0
|
Oct 2011
|
Jellybean
|
4.1/4.2
|
Nov 2012
|
Jellybean
|
4.3
|
July 2013
|
Kitkat
|
4.4
|
Oct 2013
|
এন্ড্রয়েড এর মূল ফিচার গুলো
এন্ড্রয়েড এর ইন্টার্ফেস
ম্যাসেজিং
ওয়েব ব্রাউজার
ভয়েস বেইসড ফিচারগুলো
ভয়েস এর মাধ্যমে Google search অপসনটি এন্ড্রয়েড এর প্রাথমিক রিলিজেই অন্তর্ভুক্ত ছিল। ভয়েস কমান্ড এর মাধ্যমে calling, texting, navigation ইত্যাদি এন্ড্রয়েড এর ২.২ ভার্সন ও এর উপরের ভার্সনগুলোতে চালু আছে।
মাল্টি-টাচ
- এন্ড্রয়েড তাদের মাল্টি-টাচ অপশনটি প্রাথমিক ভাবে HTC Hero এর মাধ্যমে রিলিজ করে। কিন্তু তারা আইনি জটিলতার কারনে কার্নেল ভার্সন থেকে বাদ দেয় কারন অ্যাপল পেটেন্ড নিয়ে রেখেছিল। পরবর্তিতে Google Nexus One এবং Motorola Droid এর মাধ্যমে মাল্টি-টাচ অপশন টি আপডেট দেয়।
মাল্টি টাস্কিং
আপ-মাল্টি টাস্কিং এবং মেমরি এলোকেশন এর মাধ্যমে অত্যাধুনিক ও সহজে একি সাথে অনেক কাজ করা সম্ভব হয়।
স্ক্রিন ক্যাপচার
এন্ড্রয়েড ডিভাইস এ সহজেই পাওয়ার বাটন ও ভলিউম ডাউন বাটন একি সাথে চেপে ধরে স্ক্রিন শট নেওয়া যায়।ভিডিও কলিং
- এন্ড্রয়েড মূলত native video calling অপশনটি সাপোর্ট করে না, কিন্তু কিছু কাস্টমাইজ হ্যান্ডসেট এ এন্ড্রয়েড এর কাস্টমাইজ করে UMTS Network এর মাধ্যমে ভিডিও কলিং অপশনটি সাপোর্ট করানো। বাংলাদেশে বর্তমানে চলমান প্রায় সব এন্ড্রয়েড হ্যান্ড সেট গুলোই ভিডিও কলিং সাপোর্ট করে।
মাল্টি-ল্যাংগুয়েজ সাপোর্ট রয়েছে
কানেক্টিভিটি
এন্ড্রয়েড এ Bluetooth ,Tethering ,Wi-Fi hotspot GSM/EDGE, Wi-Fi, Bluetooth, LTE, CDMA, EV-DO, UMTS, NFC, IDEN , WiMAX এসব কানেক্টিভিটি অপশন রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন